গরমের দিনে আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে চার্জার ফ্যান। বিদ্যুৎ না থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠান্ডা বাতাস দেওয়ার ক্ষমতা এই ফ্যানের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ। বাড়ি, অফিস, এমনকি বাইরে কোথাও গেলেও এটি সহজে বহন করা যায়। আজকাল বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির rechargeable fan পাওয়া যায়, যার দাম ও গুণগত মান ভিন্ন ভিন্ন। তাই অনেকেই প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে কোন কোম্পানির চার্জার ফ্যান সবচেয়ে ভালো? আর কম দামে কোনটি কিনতে পারি? আজকের এই লেখায় আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর দেবো, সাথে 2025 সালে বিভিন্ন কোম্পানির চার্জার ফ্যানের দাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এ সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমে অস্থির হয়ে পড়তে হয়। Charger fan এই সমস্যার একটি সহজ সমাধান। এটি বিদ্যুৎ ছাড়াই চলে, তাই যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা যায়। ছোট থেকে বড় সাইজ, সস্তা থেকে দামি—সব ধরনের ফ্যান বাজারে পাওয়া যায়। আর এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি বহনযোগ্য। তাই গরমের সময় এটি কিনতে চান অনেকেই। কিন্তু কেনার আগে দাম ও গুণগত মান জানা জরুরি। চলুন, বিভিন্ন কোম্পানির ফ্যানের দাম ও বৈশিষ্ট্য দেখে নিই।
চার্জার ফ্যান এর দাম ২০২৫ সালে কত
বাংলাদেশে Walton একটি পরিচিত নাম। এই কোম্পানি সাশ্রয়ী দামে ভালো মানের ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরি করে। তাদের চার্জার ফ্যানও বাজারে বেশ জনপ্রিয়। Walton charger fan এর দাম শুরু হয় ২০০০ টাকা থেকে। আর বেশি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ফ্যানের দাম ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই ফ্যানগুলোতে ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়, যা গরমে দীর্ঘ সময় বাতাস দিতে সক্ষম। তাই যারা দেশি ব্র্যান্ডের উপর ভরসা করেন, তাদের জন্য ওয়ালটন একটি ভালো পছন্দ।
ডিফেন্ডার চার্জার ফ্যান
Defender charger fan বাংলাদেশে আরেকটি জনপ্রিয় নাম। এই ফ্যানের বিশেষত্ব হলো এর দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপ। শুধু বাতাসই নয়, কিছু মডেলে মোবাইল চার্জিং এর সুবিধাও থাকে। দামের দিক থেকে:
- ১২ ইঞ্চি Defender ফ্যান: ৪১০০ টাকা
- ১৪ ইঞ্চি Defender ফ্যান: ৪৯৫০ টাকা
- Defender KM-F0082 (১২ ইঞ্চি): ২৮৫০ টাকা
সর্বোচ্চ ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা দিলে এই ব্র্যান্ডের ভালো মানের ফ্যান পাওয়া যায়। যারা একটু বেশি টাকা খরচ করে টেকসই ফ্যান চান, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।
সিঙ্গার চার্জার ফ্যানের দাম
Singer ব্র্যান্ডের ফ্যান সাধারণত table fan হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়। এগুলো স্ট্যান্ডে রেখে যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা যায়। দামের দিক থেকে এটি ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ:
- ১৬ ইঞ্চি Singer ফ্যান: ১৯০০ টাকা
কম দামের ফ্যানে ব্যাটারি ব্যাকআপ একটু কম হতে পারে। তবে বাজেট বাড়ালে ভালো ব্যাকআপ ও বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। যারা সিম্পল কিন্তু ভালো মানের ফ্যান চান, তারা সিঙ্গার বেছে নিতে পারেন।
ভিশন চার্জার ফ্যান প্রাইস ইন বাংলাদেশ
Vision charger fan দ্রুত চার্জ হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ কম। এটি environment-friendly হওয়ায় অনেকের পছন্দ। এর ওয়াট সাধারণত ৫ থেকে ৫৫ ওয়াট পর্যন্ত হয়। দাম শুরু হয় ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা থেকে, আর সর্বোচ্চ ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত যায়। গরমে সাশ্রয়ী ও কার্যকর সমাধান চাইলে ভিশন ফ্যান ভালো অপশন।
সুপার স্টার চার্জার ফ্যান দাম
Super Star ফ্যান বিভিন্ন সাইজে পাওয়া যায়। কিছু মডেলে LED লাইট যুক্ত থাকে, যা বিদ্যুৎ না থাকলে আলোর কাজও করে। দামের তালিকা:
- ১২ ইঞ্চি ফ্যান: ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা
- সর্বনিম্ন: ৩০০০ টাকা
- সর্বোচ্চ: ৭০০০ থেকে ৮০০০ টাকা
বৈশিষ্ট্য বাড়লে দামও বাড়ে। তাই বাজেট ও প্রয়োজন বুঝে কিনতে হবে।
ক্লিক চার্জার ফ্যানের দাম ২০২৫
Click charger fan কম দামে ভালো সার্ভিস দেয়। এর দাম শুরু হয় ২০০০ টাকা থেকে, আর একটু ভালো মানের ফ্যান পেতে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। যারা বাজেট কম রেখে ফ্যান কিনতে চান, তাদের জন্য এটি আদর্শ।
Sunca rechargeable fan
Sanka charger fan বিভিন্ন ডিজাইন ও মডেলে পাওয়া যায়। দাম শুরু হয় ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা থেকে, আর সর্বোচ্চ ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত যায়। বাজেট অনুযায়ী এটি সবার জন্য উপযোগী।
নোভা চার্জার ফ্যানের দাম
Nova charger fan এর দাম শুরু হয় ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকা থেকে। বিভিন্ন মডেলের জন্য দাম আলাদা হয়, তবে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা দিলে ভালো মানের ফ্যান পাওয়া যায়। অনলাইনে দাম চেক করে কিনতে পারেন।
ছোট চার্জার ফ্যানের দাম
Small charger fan সাধারণত ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দিয়ে পাওয়া যায়। আরও কম দামে চাইলে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং ভালো মানের জন্য ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা লাগতে পারে।
এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে আপনার বাজেট ও চাহিদার উপর। তবে অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, বাংলাদেশে Walton, Vision, Singer এই তিনটি ব্র্যান্ডের ফ্যান ভালো মানের। এগুলোর ব্যাটারি ব্যাকআপ ও স্থায়িত্ব বেশি। যদি বাজেট বেশি থাকে, তাহলে এই ব্র্যান্ডগুলো থেকে বেছে নিতে পারেন। আর বাজেট কম হলে Click বা Sanka ফ্যান কিনতে পারেন। তবে একটি পরামর্শ, অনলাইনে না কিনে দোকানে গিয়ে ভালো করে দেখে কিনুন। এতে মান যাচাই করা সহজ হবে।
চার্জার ফ্যান কেনার আগে যা জানতে হবে
- ব্যাটারির ভোল্টেজ ও ওয়াট: ফ্যান কতক্ষণ চলবে, তা ব্যাটারির উপর নির্ভর করে। তাই কেনার আগে এটি জেনে নিন।
- বৈশিষ্ট্য: লাইট, মোবাইল চার্জিং সুবিধা আছে কি না, দেখে নিন।
- দামের সাথে মান: দাম বেশি হলে বৈশিষ্ট্য বাড়ে। তাই বাজেট ঠিক করুন।
- ব্র্যান্ডের ওয়ারেন্টি: ভালো ব্র্যান্ডে ওয়ারেন্টি থাকে, যা পরে কাজে আসে।
চার্জার ফ্যান গরমের সময় আমাদের জন্য একটি বড় সাহায্য। 2025 সালে এর দাম ও গুণগত মান নিয়ে এই লেখায় বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। Walton, Defender, Singer, Vision—এই ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আপনার পছন্দমতো একটি বেছে নিতে পারেন। তবে কেনার আগে দোকানে গিয়ে ভালো করে দেখে নেওয়াই ভালো। আশা করি, এই লেখা পড়ে আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এই ধরনের তথ্য সবার আগে জানতে এই ক্যাটাগরি পড়ুন।