Saturday, April 19, 2025
Homeঅর্থনীতিইলেক্ট্রনিক্স পন্যওয়ালটন আইপিএস এর দাম কত || Walton IPS price in BD 2025

ওয়ালটন আইপিএস এর দাম কত || Walton IPS price in BD 2025

প্রতি বছর গরমের মৌসুমে বাংলাদেশে আইপিএস (ইনভার্টার পাওয়ার সাপ্লাই) এর চাহিদা এবং দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো এই সময়ে দেশজুড়ে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সংকটের মাত্রা বেড়ে যায়। লোডশেডিং থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই বিকল্প হিসেবে ওয়ালটন আইপিএস ব্যবহার করেন। ওয়ালটন বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড, যা দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি আইপিএস সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরি করে। এই কোম্পানির আইপিএস গুলো নাগরিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়, কারণ এগুলো সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং টেকসই।

ওয়ালটন আইপিএস এর দাম নির্ভর করে এর ক্যাপাসিটি এবং ফিচারের উপর। সাধারণত ১০০০ ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার (ভিএ) থেকে ২০০০ ভিএ পর্যন্ত আইপিএস এর দাম ২০,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে উচ্চ ক্যাপাসিটি এবং উন্নত প্রযুক্তির আইপিএস গুলোর দাম আরও বেশি হতে পারে। ওয়ালটন আইপিএস এর মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে এর ব্যাটারি লাইফ, পাওয়ার আউটপুট এবং সার্ভিস সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ওয়ালটন আইপিএস কেনার আগে এর দাম এবং ফিচার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। এছাড়াও, স্থানীয় দোকান বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনার সময় ডিসকাউন্ট বা অফার সম্পর্কে খোঁজ নিলে সাশ্রয়ী মূল্যে কেনা সম্ভব। ওয়ালটন আইপিএস এর দাম এবং গুণগত মান বিবেচনা করলে এটি বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি আদর্শ পছন্দ।

ওয়ালটন আইপিএস এর দাম কত

ওয়ালটন আইপিএসের দাম ২০২৫ সালে কেমন হবে, তা নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। ওয়ালটন কোম্পানির আইপিএসে হাই ভোল্টেজ, লো ভোল্টেজ এবং শর্ট সার্কিট প্রটেকশন সিস্টেমের মতো উন্নত ফিচার রয়েছে। এসব ফিচার বিদ্যুৎ সমস্যার সময় আপনার যন্ত্রপাতি সুরক্ষিত রাখে। বর্তমানে, ওয়ালটন আইপিএস বা স্টেবিলাইজার কিনতে ন্যূনতম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা খরচ হতে পারে। এই আইপিএস ব্যবহার করে আপনি লোডশেডিংয়ের সময়ও দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ পাবেন এবং আউটপুট ভোল্টেজ সঠিকভাবে পাবেন।

ওয়ালটন আইপিএস কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। প্রথমত, দোকানে গিয়ে সরাসরি দরদাম করে কিনুন। এতে আপনি ভালো দাম পেতে পারেন এবং পণ্যের গুণগত মান যাচাই করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, অনলাইনে কেনার সময় বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট বেছে নিন এবং রিভিউ পড়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। এছাড়াও, ওয়ালটন আইপিএসের ওয়ারেন্টি এবং সার্ভিস সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিন।

২০২৫ সালে ওয়ালটন আইপিএসের দাম বাড়তে পারে, কারণ তখন প্রযুক্তি আরও উন্নত হবে এবং নতুন ফিচার যুক্ত হতে পারে। তাই, এখনই একটি ওয়ালটন আইপিএস কিনে লোডশেডিং থেকে মুক্তি পান এবং আপনার যন্ত্রপাতি সুরক্ষিত রাখুন।

আরও পড়ুনসোলার প্যানেল এর দাম koto janun।

ওয়ালটন স্টেবিলাইজার

ওয়ালটন স্টেবিলাইজার বাংলাদেশের বাজারে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। এটি ঘরোয়া যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে রেফ্রিজারেটর, টিভি এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসের জন্য সঠিক ভোল্টেজ নিশ্চিত করে। ২০২৫ সালে ওয়ালটন স্টেবিলাইজারের দাম এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে অনেকেই অনলাইনে অনুসন্ধান করেন। এই স্টেবিলাইজারগুলোর দাম সাধারণত ১০০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। দাম নির্ভর করে স্টেবিলাইজারের ক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যের উপর

ওয়ালটন স্টেবিলাইজারগুলোর মধ্যে কিছু মডেলে অটো ভোল্টেজ রেগুলেশন, সার্জ প্রোটেকশন এবং ওভারলোড প্রোটেকশনের মতো উন্নত ফিচার রয়েছে। এসব ফিচার যন্ত্রপাতিকে দীর্ঘদিন নিরাপদে চালাতে সাহায্য করে। ছোট আকারের স্টেবিলাইজারগুলো সাধারণত ৫০০-১০০০ ওয়াট ক্ষমতার হয়, যা ছোট ডিভাইসের জন্য উপযোগী। বড় মডেলগুলো ২০০০-৫০০০ ওয়াট ক্ষমতার হয়, যা বড় রেফ্রিজারেটর বা এয়ার কন্ডিশনারের জন্য ব্যবহার করা যায়।

ওয়ালটন স্টেবিলাইজার কিনতে চাইলে অনলাইন শপ বা স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স দোকান থেকে কেনা যেতে পারে। দামের পাশাপাশি গ্যারান্টি এবং সার্ভিস সুবিধা যাচাই করে কেনা উচিত। ২০২৫ সালে ওয়ালটন স্টেবিলাইজারের দাম এবং বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে এটি একটি সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য পছন্দ হতে পারে।

Walton IPS price in BD 2025

ওয়ালটন আইপিএস বাংলাদেশের বাজারে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। এই আইপিএস গুলো নিম্ন মূল্য থেকে শুরু করে উচ্চ মূল্য পর্যন্ত পাওয়া যায়। সাধারণ মানের আইপিএস গুলো ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় কিনতে পারবেন। তবে ভালো বৈশিষ্ট্য এবং বেশি ক্যাপাসিটির আইপিএস গুলোর দাম ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। যারা দীর্ঘ সময় ব্যাকআপ চান, তাদের জন্য ওয়ালটন আইপিএসের দাম ৭০০০ থেকে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

ওয়ালটন আইপিএস গুলোর ডিজাইন, ইনপুট-আউটপুট সিস্টেম এবং ফ্রিকোয়েন্সি সবই উন্নত মানের। নিচে ২০২৫ সালের ওয়ালটন আইপিএসের কিছু মডেল এবং তাদের দামের তালিকা দেওয়া হলো:

১. Walton WVP-SG15
দাম: ১,৩০০-১,৪০০ টাকা
এই মডেলটি ছোট ব্যবসা বা বাসাবাড়ির জন্য উপযোগী। এটি কম শক্তির যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য আদর্শ।

২. Walton WVS-600 SD
দাম: ৩,৩০০-৩,৪০০ টাকা
এই আইপিএসটি মাঝারি মানের বৈশিষ্ট্য সহ বেশ জনপ্রিয়। এটি সাধারণ ঘরোয়া ব্যবহারের জন্য ভালো।

৩. Walton WVS-1000SD
দাম: ৪,৭০০-৪,৮৫০ টাকা
এই মডেলটি বেশি শক্তিশালী এবং বেশি সময় ধরে ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। এটি বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।

৪. Walton WVP-JV200
দাম: ১,৫০০-১,৭০০ টাকা
এটি একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি আইপিএস। ছোট ব্যবসা বা বাসাবাড়ির জন্য এটি ভালো অপশন।

৫. Walton WVS-1000HSD
দাম: ৩,৪০০-৩,৫০০ টাকা
এই মডেলটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং দীর্ঘ সময় ব্যাকআপ দিতে পারে। এটি বড় অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী।

৬. Walton WVS-1000SDR80V
দাম: ৩,৯০০-৪,০০০ টাকা
এটি ওয়ালটনের একটি উন্নত মডেল। এটি বেশি শক্তিশালী এবং দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারে।

ওয়ালটন আইপিএস গুলো নানান ধরনের চাহিদা মেটানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক মডেলটি বেছে নিতে পারেন। দাম এবং বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে ওয়ালটন আইপিএস গুলো বাংলাদেশের বাজারে সেরা অপশনগুলোর মধ্যে একটি।

গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে, এবং আইপিএস (ইন্টারাপ্টিবল পাওয়ার সাপ্লাই) এর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। এই সময়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আইপিএসের দামও বাড়তে থাকে। তবে ওয়ালটন কোম্পানি কম দামে ভালো মানের আইপিএস অফার করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক। আজ আমরা ওয়ালটনের কিছু জনপ্রিয় ও সাশ্রয়ী আইপিএস মডেলের তালিকা নিয়ে আলোচনা করব।

ওয়ালটন আইপিএস মডেল এবং দাম

১. WVP-SG15: এই মডেলটি ১,২০০ থেকে ১,৩০০ টাকায় পাওয়া যায়। এটি ছোট পরিবার বা অফিসের জন্য আদর্শ।
২. WVP-JV200: এই মডেলের দাম ১,৫০০ থেকে ১,৬০০ টাকা। এটি মাঝারি আকারের লোড বহন করতে সক্ষম।
৩. Walton High Voltage IPS WVS-600 SD: ১,২০০ থেকে ১,৩০০ টাকায় এই মডেলটি উচ্চ ভোল্টেজ সুবিধা দেয়, যা গ্রামীণ এলাকার জন্য উপযুক্ত।
৪. Walton WIP-400SS (SLIM IPS): এই মডেলটি ১,১০০ থেকে ১,২০০ টাকায় পাওয়া যায়। এটি স্লিম ডিজাইনের জন্য সহজে বহনযোগ্য।
৫. Walton WVS-1000HSD (Mini IPS): মাত্র ১,৬০০ থেকে ১,৭০০ টাকায় এই মডেলটি ছোট ব্যবসা বা বাড়ির জন্য চমৎকার।

ওয়ালটন আইপিএস গুলো দামে সাশ্রয়ী হলেও গুণগত মানে কোনো কমতি নেই। এগুলো দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ, উচ্চ ভোল্টেজ সুরক্ষা এবং কম শক্তি খরচের মতো বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে। এছাড়াও, ওয়ালটনের সার্ভিস সেন্টার দেশজুড়ে থাকায় যেকোনো সমস্যায় দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়।

আমার শেষ কথা

ওয়ালটন আইপিএস গুলো দাম এবং গুণগত মানের দিক থেকে সেরা বিকল্প। বিদ্যুতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক আইপিএস বেছে নিতে এই তালিকা আপনাকে সাহায্য করবে। যদি এই তথ্য আপনার কাজে লাগে, তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। ওয়ালটন আইপিএস কিনে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করুন এবং নিরবচ্ছিন্ন জীবনযাপন করুন।

Mukti Biswas
Mukti Biswashttps://aajkalbangla.com
নমস্কার, আমি Mukti বিশ্বাস, একজন প্রতিবেদন লেখিকা। গত ৫ বছর ধরে বিভিন্ন ধরণের ব্লগ লেখার সঙ্গে যুক্ত আছি। আমি অনলাইন ইনকাম, টেলিকম, প্রযুক্তি, সরকারি কর্মীদের নানা আপডেট, সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশিপ ইত্যাদি বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালোবাসি। আমার ব্লগগুলো শুধুমাত্র শিক্ষা ও জানার উদ্দেশ্যে লেখা হয়। লেখা সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না যেন। ধন্যবাদ!
রিলেটেড পোষ্ট

খুব জনপ্রিয়