এই লেখাটি পড়ে আপনি আজকের পেঁয়াজের দাম কত তা জানতে পারবেন। পেঁয়াজ আমাদের রান্নাঘরের একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রতিদিনের রান্না থেকে শুরু করে বিশেষ খাবার তৈরি, সব কিছুতেই পেঁয়াজের জুড়ি নেই। কিন্তু সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বাংলাদেশে এবং ভারতবর্ষে এই সবজির দাম কত চলছে? আজকের এই লেখায় আমরা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজব এবং বাজারের সর্বশেষ খবর জানব।
পেঁয়াজ শুধু একটি সবজি নয়, এটি আমাদের খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। তরকারি, স্টু, স্যুপ কিংবা সালাদ—সব কিছুতেই পেঁয়াজ একটি key ingredient। এর পাশাপাশি পেঁয়াজের রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে দাম বাড়লে এই সাধারণ সবজিটি আমাদের পকেটে চাপ ফেলে। তাই আজকের পেঁয়াজের দাম জানা আমাদের সবার জন্য জরুরি।
বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম প্রায়ই ওঠানামা করে। আজ বাজারে পেঁয়াজের দাম নির্ভর করছে স্থানীয় উৎপাদন এবং আমদানির ওপর। সাধারণত বাংলাদেশে পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করা হয়। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, ভারত রপ্তানি কমিয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশে দাম কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তবে গ্রামের বাজারে এটি ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। এই দাম মাঝে মাঝে সরবরাহের ওপর নির্ভর করে আরও বাড়তে বা কমতে পারে।
আজকের পেঁয়াজের দাম কত
পরিমাণ | দেশি পেঁয়াজের মূল্য | আমদানিকৃত পেঁয়াজের মূল্য |
---|---|---|
১ কেজি | ৩০ – ৪৫ টাকা | ০০ – ০০ টাকা |
১০ কেজি | ৩০০ – ৪৫০ টাকা | ০০ – ০০ টাকা |
২৫ কেজি | ৭৫০ – ১,১২৫ টাকা | ০০ – ০০ টাকা |
৫০ কেজি | ১,৫০০ – ২,২৫০ টাকা | ০০ – ০০ টাকা |
১০০ কেজি | ৩,০০০ – ৪,৫০০ টাকা | ০০ – ০০ টাকা |
৫০০ কেজি | ১৫,০০০ – ২২,৫০০ টাকা | ০০ – ০০ টাকা |
১,০০০ কেজি | ৩৫,০০০ – ৪৫,০০০ টাকা | ০০ – ০০ টাকা |
ভারতবর্ষে পেঁয়াজের দামও এখন আলোচনার বিষয়। মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মতো রাজ্যগুলোতে পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়। কিন্তু বৃষ্টি বা খরার কারণে উৎপাদন কমে গেলে দাম বেড়ে যায়। আজকের হিসেবে ভারতের বিভিন্ন শহরে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫৫ রুপির মধ্যে রয়েছে। দিল্লি বা মুম্বাইয়ের মতো বড় শহরে এটি ৫০ রুপির কাছাকাছি, আর গ্রামাঞ্চলে ৩৫ থেকে ৪৫ রুপি। ভারত থেকে রপ্তানি কমার কারণে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, weather conditions। বেশি বৃষ্টি বা খরা ফসল নষ্ট করে দেয়। দ্বিতীয়ত, আমদানি-রপ্তানির নীতি। ভারত যদি রপ্তানি বন্ধ করে, তাহলে বাংলাদেশে সরবরাহ কমে যায়। তৃতীয়ত, মজুতদাররা অনেক সময় দাম বাড়িয়ে লাভ করার চেষ্টা করে। এসব কারণে onion price আমাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে চিন্তা করলেও আমাদের হাতে বেশি কিছু নেই। তবে স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজ চাষ বাড়ানো যেতে পারে। সরকারও আমদানির ওপর নজর রাখতে পারে। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে বাজার থেকে দাম দেখে কিনতে পারি এবং অপচয় কমাতে পারি।
বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার নিয়ে সর্বশেষ তথ্য
বন্ধুরা, আজকের দিনে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ে সবাই একটু চিন্তিত। বাজারে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, পেঁয়াজের দাম যেন আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে। আপনারা যারা আজকের পেঁয়াজের দাম কত ২০২৫ বা ১ কেজি পেঁয়াজের দাম কত জানতে চান, তাদের জন্য এই লেখাটি একদম শেষ পর্যন্ত পড়া জরুরি। আমরা এখানে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার নিয়ে সহজ ভাষায় সব কিছু খুলে বলবো।
গত কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করছি, দেশের প্রতিটি বাজারে পেঁয়াজের দাম আগুন হয়ে উঠেছে। এর পেছনে বড় কারণ হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের নতুন নীতি। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। শুধু তাই নয়, ভারত পেঁয়াজের ওপর ৪০% শুল্ক বসিয়েছে। এই দুই কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে, আর সাধারণ মানুষের কাছে তা কেনা এখন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো, ২০২৫ সালে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম আসলে কত? বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের দাম এখন প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আরও বেশি, ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত চলছে। যদি আপনি ১ বস্তা পেঁয়াজের দাম জানতে চান, তাহলে বলতে হয়, এক বস্তা (৫০ কেজি) পেঁয়াজের দাম এখন ৪০০০ থেকে ৬০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এই দাম শুনে অনেকেই মাথায় হাত দিচ্ছেন।
এবার আসি ভারতের কথায়। ভারতে পেঁয়াজের দাম ২০২৫ সালে কেমন আছে? সেখানেও দাম বেশ চড়া। ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। আর কলকাতায় পেঁয়াজের দাম এখন ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। তবে রপ্তানি বন্ধ থাকায় এই পেঁয়াজ আমাদের দেশে আসছে না। ফলে আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
বন্ধুরা, বাংলাদেশে পেঁয়াজের এই দাম বাড়ার পেছনে শুধু ভারতই দায়ী নয়। আমাদের দেশে উৎপাদনও তেমন বাড়ছে না। আবহাওয়ার সমস্যা, কৃষকদের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়া—এসব কারণে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম। আর আমদানির ওপর ভরসা করতে গিয়ে এখন আমরা বিপাকে পড়েছি। বাজারে গিয়ে দেখবেন, দোকানিরা বলছেন, “মাল নেই, যা আছে তাই দামে কিনতে হবে।”
এখন প্রশ্ন হলো, এই পরিস্থিতিতে আমরা কী করবো? সরকারের পক্ষ থেকে যদি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের সাহায্য করা হয়, তাহলে হয়তো কিছুটা সমাধান হতে পারে। আর ভারতের সঙ্গে কথা বলে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে এসব হতে সময় লাগবে। ততদিন আমাদের একটু ধৈর্য ধরে বাজার করতে হবে।
১ কেজি পেঁয়াজের দাম কত 2025
২০২৫ সালে এসে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা তুঙ্গে। গত কয়েক মাস ধরে শুধু পেঁয়াজ নয়, অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের দামও যেন আকাশ ছুঁয়েছে। সবজি বাজারে গিয়ে মাত্র ১ কেজি পেঁয়াজ কিনতে গেলেও মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই জানতে চাইছেন, ২০২৫ সালে ১ কেজি পেঁয়াজের দাম কত? আজকের এই লেখায় আমরা বর্তমান বাজার দর, দাম বাড়ার কারণ এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এখনকার বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী, স্থানীয় বাজার এবং সরকার নির্ধারিত দামের ওপর ভিত্তি করে প্রতি ১ কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম এখন ৩০ টাকা থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে। তবে এলাকাভেদে এই দাম একটু কমবেশি হতে পারে। অন্যদিকে, আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম নিয়ে সঠিক তথ্য এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ, আমদানির পরিমাণ এবং পরিবহন খরচের ওপর এই দাম নির্ভর করে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আমদানি করা পেঁয়াজের দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকতে পারে। টিসিবি (Trading Corporation of Bangladesh) বাজার দর অনুযায়ী এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতা আর পাইকারি বিক্রেতাদের মধ্যে দামের তারতম্য দেখা যায়।
কেন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, ডলারের দাম বৃদ্ধি। ডলারের মূল্য বাড়ায় আমদানি খরচ অনেক বেড়ে গেছে। দ্বিতীয়ত, যুদ্ধবিগ্রহ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান অস্থিরতার কারণে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে পেঁয়াজ আমদানি করতে বাড়তি খরচ হচ্ছে। এছাড়া দেশের ভেতরে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং বাজারে সরবরাহের ঘাটতিও দাম বাড়ার অন্যতম কারণ। এসব কিছু মিলিয়ে পেঁয়াজের দাম যেন আগুন হয়ে উঠেছে।
আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বাজার করা এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে যখন ৪৫ টাকা দিতে হয়, তখন অন্যান্য জিনিস কেনার টাকা জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়ে। গৃহিণীরা বলছেন, “একটু ভালো করে রান্না করতে গেলেই পেঁয়াজ লাগে। কিন্তু এখন দাম এত বেশি যে, কম করে ব্যবহার করতে হয়।” এই পরিস্থিতি শুধু পেঁয়াজের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য সবজি আর খাদ্যদ্রব্যের দামও বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের দামও বাড়বে। পরিবহন খরচ কমানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এছাড়া দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের সাহায্য করা জরুরি। না হলে সাধারণ মানুষের জন্য বাজার করা আরও কঠিন হয়ে যাবে।