Mimi Chakraborty বর্তমান সময়ের এক জনপ্রিয় নায়িকা।শুধু পশ্চিম বঙ্গেই নয় তিনি ওপার বাংলাতেও কোটি কোটি দর্শকের মন জয় করেছেন।সমস্ত রকম আলচনা এবং সমালচনা কে তিনি পিছনে ফেলে এগিয়ে চলছেন ঝড়ের গতিতে।তার অসাধারন অভিনয় এর মাধমে সকলের মন জয় করে নিয়েছে
Mimi Chakraborty জীবন ও ক্যারিয়ার
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
Mimi Chakraborty জন্মগ্রহণ করেন 11 ফেব্রুয়ারি, 1989 সালে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে। তার শৈশব কাটে অরুণাচল প্রদেশ এবং পরবর্তীতে জলপাইগুড়িতে। শিক্ষাজীবন শুরু হয় জলপাইগুড়ির সেন্ট জেমস স্কুলে। এরপর কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
ছোটবেলা থেকেই Mimi Chakraborty নাচ এবং অভিনয়ে আগ্রহী ছিলেন। মডেলিংয়ের মাধ্যমে তার ক্যারিয়ার শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন।
অভিনয়ে যাত্রা
প্রথম মেগা সিরিয়াল
Mimi Chakraborty তার অভিনয় যাত্রা শুরু করেন টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘গানের ওপারে’ (2010) এর মাধ্যমে। এই সিরিয়ালে “পুপে” চরিত্রে অভিনয় তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। রবি ঠাকুরের গানের আবহে তৈরি এই ধারাবাহিক টলিউডের দর্শকদের কাছে নতুন এক অভিজ্ঞতা এনে দেয়।
টলিউডে আত্মপ্রকাশ
২০১২ সালে মিমি টলিউডে পা রাখেন। তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘বাপি বাড়ি যা’, যা কমেডি-রোমান্স ধাঁচের ছিল। এই চলচ্চিত্রে তার সহজাত অভিনয় তাকে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে স্থায়ী জায়গা এনে দেয়।
Mayapur Tour: মন্দির ছাড়াও মায়াপুরে দেখার মতো 5 জায়গা! দেখুন
3. উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র
রোমান্টিক এবং বাণিজ্যিক সিনেমা
মিমি চক্রবর্তী তার অভিনয় দক্ষতায় বিভিন্ন ঘরানার সিনেমায় কাজ করেছেন। তার কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো:
- ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ (2012): এই ছবিতে মিমি এবং সোহমের জুটি দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নেয়।
- ‘কেলোর কীর্তি’ (2016): একটি হালকা কমেডি যা বক্স অফিসে সফলতা পায়।
- ‘ধনঞ্জয়’ (2017): বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি এই সিনেমায় মিমির অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়।
- ‘ক্রিসক্রস’ (2018): পাঁচ নারীর জীবন নিয়ে তৈরি এই ছবিতে মিমির চরিত্র ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ‘SOS কলকাতা’ (2020): থ্রিলার ধাঁচের এই সিনেমায় মিমির একশন অভিনয় প্রশংসিত হয়।
গানের প্রতি ভালোবাসা
Mimi Chakraborty অভিনয়ের পাশাপাশি একজন দক্ষ গায়িকাও। তার গাওয়া কিছু গান তার ভক্তদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, যেমন ‘আনজানা’ এবং ‘পরিচয়’।
রাজনৈতিক জীবন
২০১৯ সালে মিমি চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির হয়ে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে দাঁড়ান এবং বিপুল ভোটে জয়ী হন। তার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ অনেককে অনুপ্রাণিত করে।
ব্যক্তিগত জীবন
মিমি চক্রবর্তীর ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই তার ভক্তদের মধ্যে আলোচনার বিষয়। যদিও তিনি ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে খুব একটা প্রকাশ্যে কথা বলেন না, তার প্রাণীপ্রেম এবং ফ্যাশন সেন্স সর্বদাই সংবাদ শিরোনামে থাকে।
তিনি পোষা কুকুর ভালোবাসেন এবং একাধিক ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণ করেছেন।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
মিমি তার ক্যারিয়ারে বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- সেরা নবাগত অভিনেত্রী পুরস্কার (বাপি বাড়ি যা-এর জন্য)।
- টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড (গানের ওপারে ধারাবাহিকের জন্য)।
- বিভিন্ন ফিল্মফেয়ার মনোনয়ন।
মিমির অনুপ্রেরণা
মিমি চক্রবর্তী আজ শুধু একজন অভিনেত্রী বা রাজনীতিবিদই নন, বরং একজন সফল নারীর প্রতীক। তার কর্মক্ষমতা ও অধ্যবসায় নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখতে এবং তা পূরণের জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।
প্রশ্ন ও উত্তর
- মিমি চক্রবর্তীর জন্ম কোথায়?
জলপাইগুড়ি, পশ্চিমবঙ্গ। - মিমি চক্রবর্তীর প্রথম ধারাবাহিকের নাম কী?
‘গানের ওপারে’। - তার প্রথম সিনেমা কোনটি?
‘বাপি বাড়ি যা’। - মিমি চক্রবর্তী রাজনীতিতে কবে যোগ দেন?
২০১৯ সালে। - মিমির উল্লেখযোগ্য একটি সিনেমার নাম বলুন।
‘বোঝেনা সে বোঝেনা’।