দক্ষিন-পূর্ব বঙ্গপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্তানরত নিম্নচাপটি আরো ঘনোভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিনীত হয়েছে। এটি আরো দক্ষিন-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘুর্ণীঝড়ে পরিনীত হওয়ার আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী বেকুন্নেসার দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, হভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ও গভীর সাগরে অবস্তানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, গভীর নিম্নচাপটি আজ সকাল ৬টায় চট্রগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিনে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১হাজার ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা বন্দর থেকে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়না সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো।
বিজ্ঞপ্তীতে আরও জানানো হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। গছীর নিম্নচাপ কেন্দ্রে নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।