DA Case Update: মাহামান্য সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি আবার পিছিয়ে গেল। তবে মহামান্য অ্যাডভোকেট বিকাশ বাবুর কথা অনুসারে এই মামলার নিষ্পত্তি হতে ১৫ মিনিট এর বেশি সময় লাগার কথা নয়। তাঁর একটি ভিডিও বার্তায় শোনা গেছে এমন কথা। তবে মহামান্য বিচারপতিদের আরও বেশি সময় দরকার এই মামলার বিষয়ে। তাই সময়ের অভাবে এই মামলার শুনানির তারিখ ফের বদল হল।
প্রায় ৬ মাস পর উঠেছিল ডিএ মামলা। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ছিল আশা। কিন্তু এবারেও কোন আশার আলো দেখতে পেলেন না রাজ্য সরকারি কর্মীরা অপরদিকে মাননীয় বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এই জানুয়ারি মাসেই অবসর গ্রহণ করতে চলেছেন। সব দিক বিবেচনা করে এই মামলা আগামী মার্চ মাসে ফের উঠবে কোর্টে, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
DA Case Update
ভারতের সুপ্রিম কোর্টে DA Case Update অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলার শুনানি ১৪ বার পিছিয়ে গেল। সর্বশেষ শুনানি মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখ করুন) দুপুর ৩:৩০ মিনিটে হওয়ার কথা ছিল। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠার কথা থাকলেও, সময়ের অভাবে তা স্থগিত করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মামলার বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন, যা আজ সম্ভব নয়।
মার্চ মাসে ফের মামলাটি উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে DA Case Update অনুসারে সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য এই দেরি হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিএ মামলার প্রেক্ষাপট
- মামলার শুরু: ডিএ মামলাটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’ (SLP) দাখিলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আসে।
- কলকাতা হাইকোর্টের রায়:
- হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল।
- রাজ্য সরকার এই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে।
- শ্রেণিবদ্ধ শুনানি:
- ডিএ মামলার DA Case Update অনুসারে শুনানি ইতিমধ্যেই ১৪ বার পিছিয়ে গেছে।
- সর্বশেষ শুনানি সময়ের অভাবে স্থগিত হয়েছে।
রাজ্য বনাম সরকারি কর্মচারীদের সংঘাত
- রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি:
- রাজ্য সরকারের দাবি, হাইকোর্টের রায় মেনে বকেয়া ডিএ দিতে গেলে রাজ্য কোষাগার থেকে প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকা বেরিয়ে যাবে।
- এই অর্থ ব্যয় করা হলে রাজ্যের আর্থিক কাঠামো বিপর্যস্ত হবে।
- সরকারি কর্মচারীদের যুক্তি:
- মহার্ঘ ভাতা তাঁদের আইনগত অধিকার।
- পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে রাজ্য সরকারকে ডিএ মেটাতে হবে।
- বর্তমান বাস্তবতা:
- রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় রয়েছেন এবং ১৪% হারে ডিএ পাচ্ছেন।
- অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৫৩% হারে ডিএ পান।
- এর ফলে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএর ফারাক দাঁড়িয়েছে ৩৯%।
মামলার পরবর্তী ধাপ
শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, DA Case Update অনুসারে ডিএ মামলায় বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন। তবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের অবসরের কারণে মামলাটি নতুন বেঞ্চে স্থানান্তরিত হতে পারে। ফলে মামলার শুনানি মার্চ মাসে হলেও তারিখ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
কর্মচারীদের প্রতিক্রিয়া
মামলার শুনানি বারবার পিছিয়ে যাওয়ায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানান, “আমরা অত্যন্ত হতাশ। দ্রুত শুনানির দাবিতে গণ মেল কর্মসূচি শুরু করব।”
ডিএ মামলার গুরুত্ব কেন বেশি?
- অর্থনৈতিক ভারসাম্য:
- রাজ্যের কোষাগার সংকটে পড়তে পারে যদি ডিএ প্রদান করতে হয়।
- কেন্দ্রীয় ডিএর সঙ্গে সমতা আনলে সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক উন্নতি হবে।
- আইনগত দিক:
- রাজ্য সরকারের দাবি, ডিএ পুরোপুরি নির্দিষ্ট নয়।
- কর্মচারীদের যুক্তি, মহার্ঘ ভাতা তাঁদের অধিকার।
- সামাজিক প্রভাব:
- ডিএ মামলার ফলাফল সরকারি কর্মচারীদের মনোবল এবং কাজের পরিবেশে প্রভাব ফেলবে।
প্রাসঙ্গিক প্রশ্নোত্তর
- ডিএ মামলা কী?
এটি পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবির সঙ্গে সম্পর্কিত। - কেন মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে?
রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। - মামলার বর্তমান অবস্থা কী?
সর্বশেষ শুনানি স্থগিত হয়েছে, এবং মার্চ মাসে নতুন বেঞ্চে মামলাটি উঠতে পারে। - রাজ্যের আর্থিক দাবি কী?
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ডিএ প্রদান করতে গেলে প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। - কর্মচারীদের ডিএ দাবি কত?
কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় ডিএর সঙ্গে সমতা আনতে ৩৯% ফারাক পূরণের দাবি করেছেন।
সারসংক্ষেপ
ডিএ মামলা রাজ্য ও কর্মচারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। DA Case Update অনুসারে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি বারবার পিছিয়ে যাওয়ায় কর্মচারীদের হতাশা ক্রমেই বাড়ছে। মামলার ভবিষ্যৎ শুনানি এবং সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।