
বরিশাল জজকোর্ট এর সিনিয়র আইনজীবী বিপুল রায়ের বিরুদ্ধে, নারী কেলেঙ্কারি, অর্থ আত্মসৎ, জাল দলিল, জমি দখল, জীবিত লোক কে মৃত্যু দেখিয়ে জমি দখল সহ অসংখ অভিযোগ. এই বিষয়ে বরিশাল আদালতে, আইনজীবী বিপুল রায়, শিল্পি বিশ্বাস সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয় মামলা নং: ১৩১/২০২৫, ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে জানা যায়। বিপুল রায়, বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এম পি ইউনুস তালুকদার এর ঘনিষ্ট বন্ধু এবং সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অপকর্মে মেতে ওঠে
ঘটনা ১।
বরিশালের আগৈলঝাড়া থানাধিন কদম বাড়ি গ্রামের শিল্পী বিশ্বাস এর স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও তাকে মৃত্যু দেখিয়ে তার জমি জাল দলিল করে বিপুল রায়। এই ঘটনায় সহযোগিতা করে আওয়ামীলীগ এর সাবেক এম পি ইউনুস তালুকদার, পয়সার হাট এলাকার যোগেন হালদার, জগদীশ হালদার ও জয়দেব বাড়ই। শিল্পীর স্বামীর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি তার ছেলের নামে ২০১৫ সালে ২৫ শতাংশ জমি দনপত্র দেন। তিনি চাকরীর সুবাদে খুলনা অবস্থান করে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিপুল রায় ও তার সহযোগীরা তার ডিবোর্স দেয়া স্ত্রী শিল্পী বিশ্বাস এর থেকে জাল দলিল করে। যেহেতু স্বামী জীবিত থাকলে তার স্ত্রী দলিল দিতে পারে না তাই মৃত্যু দেখানো হয়। এই বিষয়ে বিপুল রায়কে ফোন করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন। এটা টাইপিং মিস্টেক, ইচ্ছাকৃত নয়। টাইপিং মিস্টেক যদি হয়, স্বামী জীবিত থাকতে স্ত্রীর কাছে থেকে কেন দলিল নিতে গেলেন প্রশ্ন করলে সে ভালো কোনো উত্তর দিতে পারেন নি
আবার এক প্রশ্নের উত্তরে বলে শিল্পীর স্বামী নিখোঁজ তাই মৃত্যু দেখানো হয়েছে। নিখোঁজ হলে থানায় কোনো জিডি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন থানায় জিডি নেই। এক প্রশ্নের জবাবে বিপুল রায় বলেন শিল্পী অসহায় তাই গ্রামবাসী তাকে সাহায্য করার জন্য জমি বিক্রি করে দেয়। বিপুল রায় কে প্রশ্ন করা হয় অসহায় হলে শিল্পীর দেবর, ভাসুর, ননদ রা সাহায্য করার কথা কিন্ত দলিলে তাঁদের কোনো স্বাক্ষর নেই কেনো এই প্রশ্নের কোনো উত্তর তার কাছে নেই বলে জানান তিনি।
টাইপিং মিস্টেক হলে মৃত্যু সনদ ছাড়া একজন সাবরেজিস্টার এত বড় ভুল কি করে করলো জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি দলিলের সময় উপস্থিত ছিলাম না। এলাকার অনেকে পরিচয় গোপন রেখে বলে শিল্পীর সাথে বিপুল রায়ের পরকীয়া থাকায় মূলত ডিবোর্স হয় এবং তার প্রতিশোধ নিতে ই এই ধরণের অপকর্ম করেছেন বিপুল রায়। শিল্পীর স্বামীকে পরকীয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বরিশাল এর বিভিন্ন হোটেলে শিল্পীর রাত কাটানোর হোটেলে কাটাতে গিয়ে বরিশাল পুলিশের হাতে আটক হয়. সেই মামলার নথি এবং হোটেল রেজিস্টার দেখায়। ডকুমেন্ট এর কপি আমাদের কাছে সংরক্ষণ করা আছে। বিপুল কে জিজ্ঞাসা করলে সে এই ব্যাপার কৌশলে এড়িয়ে যায়। বর্তমানে মামলা টি বরিশাল পি বি আই তে তদন্তধীন আছে।

ঘটনা ২।
বরিশালের আগৈলঝাড়া থানাধীন কদম বাড়ি গ্রামের তুষার বারোই ২০১৫ সালে তার নিজের জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময়। পয়সার হাট বাসস্ট্যান্ড বসে বিপুল রায় ও তার সহযোগীরা তুষার বাড়ই কে আটকে টাকা ছিনতাই করার চেষ্টা করে। তুষার বাড়ই জোরে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয় এবং সন্ত্রাষীরা কৌশল পাল্টে তুষারের কাছে বিপুল রায় এক লক্ষ টাকা পায় এবং লিখিত স্ট্যাম্প আছে দাবী করে । লোকজন স্ট্যাম্প দেখতে চাইলে স্ট্যাম্প বরিশালে আছে সময় দিতে হবে জানালে। তৃতীয় পক্ষ এক ই গ্রামের রাম প্রসাদের কাছে এক লক্ষ টাকা জমা রাখে। স্ট্যাম্প দেখিয়ে দুই পক্ষ বসে টাকা দেয়ার কথা থাকলে ও পরে ক্ষমতা দেখিয়ে স্ট্যাম্প না দিয়ে রাম প্রসাদ এর থেকে টাকা নিয়ে নেয়। এই বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করতে গেলে তখন কার এম পি ইউনুস তালুকদার কে দিয়ে ফোন করালে থানা থেকে মামলা গ্রহণ করেনি। এই ঘটনার কথা ও বিপুল রায় স্বীকার করে বলেন তুষার বিদেশে থাকতে তার বৌ আমার থেকে ১ লক্ষ টাকা নেয়. বিপুল রায়ের কাছে প্রশ্ন করা হয় তুষারের বৌ শিল্পী টাকা নিয়েছে তাহলে আপনি সেই শিপ্লী কে জমি বাবদ তিনলাখ টাকা দিয়েছেন তখন টাকা না রেখে সম্পূর্ণ টাকা দিয়েছেন. এবং তুষারের কাছে টাকা দাবি করেছেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বিপুল রায় বলেন শিল্পী অসহায়. ঘটনার ন্যায্য বিচার দাবী করে তুষার বাড়ই।

ঘটনা:৩।
বরিশালের আগৈলঝাড়া থানাধীন কদম বাড়ি গ্রামের তুষার বারোইর ২৫ শতাংশ জমি জাল করে দখল করে আছে ৩৫ শতাংশ, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে ওই দাগে জমি ৩৫ শতাংশ কিন্তু জাল দলিল করেছে ২৫ শতাংশ কিন্তু দখল করে রেখেছে পুরো ৩৫ শতাংশ. সমস্ত অভিযোগ সত্যি এবং সঠিক বিচার দাবি করেন তুষার বাড়ৈ
সংগ্রহ আজকাল বাংলা